প্রকাশিত: ০২/০৪/২০১৮ ৭:৫১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪২ এএম

ঢাকা: চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুর রহমান শফু নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় বস্ত্রহীন অবস্থায় আটক করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত ১১ টায় লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রামদাসদী খলিল খাঁনের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।



স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রামদাসদী মৃত কাশেম খাঁনের ছেলে খলিল ও মালেক খাঁনের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শফু নিজে পরামর্শ দিয়ে মালেক খাঁনকে বাদি করে তার ভাই খলিল খাঁনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

গত কয়েকদিন পূর্বে মডেল থানার এসআই আহাদ ঘটনা তদন্তে খাঁন বাড়িতে যায় এবং বিবাদিদের ইউপি মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। খলিল খাঁন ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় চাকরি করার সুবাধে তার অনুপুস্থিতে তার স্ত্রী মামলার বিষয়ে মফু মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে।

মফু মেম্বার সেই সুযোগে মামলা সমাধান করে দেবার কথা বলে খলিল খাঁনের স্ত্রীকে এক রাত্র কিছুক্ষন সময় দিতে বলে। মামলার এজেহারের কাগজ দেয়ার অজুহাতে শুক্রবার রাতে মফু মেম্বার খলিলের বাড়িতে যায়। এসময় তাকে বাড়ির দুইজন লোক দেখতে পেয়ে কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করে। মফু মেম্বার হতবাগ হয়ে বলে বাড়ির রাস্তাটি দেখতে এসেছি। পরে সুযোগ বুজে রাত ১১ টায় মফু মেম্বার খলিল খাঁনের বসতঘরে ডুকে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক শীলতাহানী করার চেষ্টা করে।

মফু মেম্বার অনৈতিক কাজের প্রস্তুতিকালে খলিলের স্ত্রী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দরজা খুলে প্রতিবেশীদের জানান। এসময় বাড়ির অন্যান্য মহিলারা খলিলের ঘরে ডুকে মফু মেম্বারকে বস্ত্রহীন অবস্থায় আটক করে।



খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ঘটনা জানতে পেরে মফু মেম্বারকে ঘর থেকে বাহিরে এনে নারীর ওড়না দিয়ে উলঙ্গ শরী ঢেকে দেন। পুরো ঘটনা স্থানীয় কয়েকজন মহিলা পুরুষ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।

পরে ঘটনা সমাধানের স্থানীয় চক্র অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে শফু মেম্বারের সাথে একাধিকবার কথা বলতে চাইলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত